লেখক I ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আনোয়ারুল আলম আখন্দ

১. সহজ প্রশ্ন আর জানা উত্তরের ডিলেমা:

এখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত?  কতজন বেকার?  আমদানি-রপ্তানির বৈষম্য কত?

সহজ প্রশ্ন, তাই না? আর উত্তর তো সবারই প্রায় জানা।

তাহলে ডিলেমা’টা কোথায়? বুঝার জন্য নিচের প্রশ্নগুলোকেও আমলে নিতে হবে।

জনসংখ্যা কি অভিশাপ নাকি শক্তি? আমদানি-রপ্তানির বৈষম্য কমিয়ে আনার বুদ্ধি কি? বেকারত্বই বা কিভাবে কমিয়ে আনা যায়? পরিবেশ ভাবনা নি আমাদের মত দুর্বল অর্থনীতির দেশে বাতুলতা?

কোন কোন প্রশ্ন হাজারো উত্তরের থেকেও বেশী গুরুত্ব বহন করে। উপরের প্রশ্নগুলো সেইমানের ভারবাহীই বটে।

২. রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্কুলার ইকোনমিকে কেন সহোদর বলা হচ্ছে?

সহদর তো তারা যারা সংসারকে এগিয়ে নিয়ে যায় সহযোগিতা, সহমর্মিতা আর কঠিন সময়ে একাট্টা হয়ে। সহদর কঠিন সময়ের প্রয়োজন বোঝে আর তার মোকাবিলায় পরস্পরের সংহতি আরও মজবুত করে।

উপরোক্ত সহদরের পুরো গল্প বুঝার আগে আসুন জেনে নেই তাদের পরিচয়।

রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং হল উলটোপথে চলা, সৃষ্টির প্রয়োজনে ধ্বংসকে স্বাগত জানানো একটি প্রসেস যার যাত্রা পথের শুরু ইঞ্জিনিয়ারিং এর যাত্রা পথের শেষ সীমানা থেকে এবং সে ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেনানো পথ ধরেই ঠিক উলটো দিকে চলে।

ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু করে শুন্য থেকে, আহরিত জ্ঞানের প্রয়োগ ও তথ্য-উপাত্তকে সংগি করে এগিয়ে যায় লক্ষ্য বস্তুর দিকে। পথিমধ্যে পার করে অনেক চড়াই-উৎরাই, হতাশাও পেয়ে বসে কাংখিত ফলাফলের বিরুদ্ধতায়। কিন্তু এই দূর্গম পথচলার পুরো নিয়ন্ত্রণ ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের মুঠিতে রাখে।

অন্যদিকে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং সেই পরিনত, ব্যাবহারযোগ্য পন্য বা ব্যবস্থার উপর ভর করে যাত্রা শুরু করে, গভির মনোযোগে বুঝার চেস্টা করে প্রতিটা কম্পোনেন্টের প্রয়োজনীয়তা, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার ধরন। এর যাত্রাপথ ততটা বন্ধুর নয়, যতটা বন্ধুর ইঞ্জিনিয়ারিং এর যাত্রাপথ। তবে তাদের যাত্রাপথের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকে না পুরোপুরি।

মনে হতে পারে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং বুঝি সৃষ্টির স্বাদ পায় না, কারন সেতো অন্যের তৈরি করা চেনাজানা পথেই হাটে, সৃষ্টির সুযোগ কোথায় এখানে?

ব্যাপারটা সেরকম নয়। তারাও সৃষ্টি করে, সময়, সমাজ ও রাস্ট্রের লাগসই পন্য অথবা ব্যবস্থা। বেশির ভাগ সময় তা চুড়ান্ত পন্যের বা ব্যবস্থার  সামান্য মডিফিকেশন, কোনকোন ক্ষেত্রে সম্পুর্ন নতুন সৃষ্টিও ঘটে।

ইঞ্জিনিয়ারিং ও রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল পার্থক্যগুলো নিম্নে চার্ট আকারে দেওয়া হলঃ

ফিচারইঞ্জিনিয়ারিংরিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং
গতিপথসম্মুখ মূখীপশ্চাদ মূখী
শূরু কিভাবে?কনসেপ্ট অথবা ডিজাইন এর মাধ্যমেবাজারে চালু পন্যের উপর ভিত্তি করে
লক্ষ্যনতুন কিছু সৃস্টিপ্রসেস বুঝা এবং রেপ্লিকেট তৈরী করা
ফোকাসউদ্ভাবন এবং উন্নয়নবিশ্লেষণ এবং জ্ঞান আহরণ
আইনি বৈধতাসাধারনত বৈধবৈধতা বা অবৈধতা নির্ভর করে চুড়ান্ত পন্য ও তার ইন্টালেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস এর উপর।

ধরুন, আপনি একটা নতুন স্মার্ট ফোন বাজারে আনবেন। তাহলে আপনাকে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসেস শুরু করতে হবে।

আর যদি আপনি জানতে চান যে আপনার প্রতিপক্ষের স্মার্ট ফোনটা কিভাবে কাজ করে তবে আপনাকে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসেস শুরু করতে হবে।

চার্টের মাধ্যমে উপরোক্ত দুই প্রসেস এর ধারনা দেওয়া হলঃ

ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসেসরিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসেস
বস্তুগত ধারণাঃ পুরা টিম মাথা খাটিয়ে নতুন স্মার্ট ফোনটার ফিচার চুড়ান্ত করবে যেন সহজেই এটা বাজারে আকর্ষন সৃস্টি করে। যেমন উন্নত ক্যামেরা, অধিক গতির প্রসেসর, আর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারী।  চুর্ণবিচুর্ণ করাঃ প্রতিপক্ষের স্মার্ট ফোনটাকে সতর্কভাবে চুর্ণবিচুর্ণ করে তার প্রতিটা কম্পোনেন্টগূলোকে পরিক্ষা-নিরিক্ষা করা হবে।
নকশাঃ ফোনটা’র একটা আপাদ-মস্তক নকশা প্রনয়ন করবে ইঞ্জিনিয়াররা যাতে ফোনের অবয়ব, অন্তর্বর্তী কম্পোনেন্ট ও ইউজার ইন্টারফেইজ এর ধারনা পাওয়া যায়।বিশ্লেষণঃ ইঞ্জিনিয়াররা ফোনের বিভিন্ন কম্পোনেন্ট সম্পর্কে জানার ও বুঝার চেস্টা করে। যেমন প্রসেসর, মেমরী ও ক্যামেরা।
প্রোটোটাইপ বানানঃ একটা প্রোটোটাইপ বানিয়ে টেস্ট করা হয় যে নকশায় কোন সমস্যা আছে কিনা।মডেলিংঃ CAD software-এর মাধ্যমে ফোনের কম্পোনেন্টগুলার ত্রিমাত্রীক মডেল বানান হয়।
পরিক্ষাঃ ফোনটি কতখানি টেকসই হবে, তার পারফর্মেন্সই বা কেমন হবে, সর্বপরি এর সেফটি’র দিকটা বিবেচনায় নিয়ে বেশ কিছু কঠিন পরিক্ষা চালানো হয়।সফটওয়্যার বিশ্লেষণঃ ফোনের সফটওয়্যারকে বিশ্লেষণ করে এর কোডিং আর কার্যকারিতা বুঝার চেস্টা চলে।
ম্যানুফেকচারিংঃ ফ্যাক্টরী’তে ফোনটার বড় আর পূর্ণ উৎপাদ শুরু হয়, কম্পোনেন্টগুলার এসেম্বিং আর সফটওয়্যারের প্রগ্রামিং এর মাধ্যমে।শিক্ষালব্ধ জ্ঞানঃ পুরো প্রসেস এর মাধ্যমে যে জ্ঞান আহরিত হয় তা দিয়ে নিজের ফোন ফোনের ডিজাইন এর উন্নয়ন সম্ভব, আবার এর সামঞ্জস্যপূর্ণ সরঞ্জামাদিও বানানো সম্ভব।
কোয়ালিটি কন্ট্রোলঃ কোয়ালিটি কন্ট্রোল চেক-এর মাধ্যমে ফোনটার কোন সমস্যা থাকলে তা ঠিক করা হয়। 
প্রডাক্ট বাজারে ছাড়াঃ ফাইনাল প্রডাক্ট বাজারে বিক্রী’র উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়। 

এবার চলুন শুনি সার্কুলার ইকোনমি’র গল্প।

সেই লোকটিকে আমরা সবাই চিনি, যে তার গায়ের জামাটা বেশ কিছু বছর ব্যবহারের পর খানিকটা ছিড়ে যাওয়ায় স্যান্ডো গেঞ্জি হিসাবে ব্যবহার করে, সেই স্যান্ডো গেঞ্জি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার পর তা দিয়ে রুমাল বানায়। সেই রুমালটিও যখন ব্যবহার অনুপযোগী হল তখন সেটা পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে দাত মাজলেন আর কুলকুচি করার সময় আফসোস করলেন, ” আমার এত সাধের জামাটা শেষে জলেই গেল”!

আমরা সবাই তাকে কিপটা উপাধি দিয়েছি, আসলে উনিই কিন্তু সার্কুলার ইকোনমি’র জনক!!

আফসোস, এই দেশ প্রকৃত মেধাবীকে চিনল না!!

কিন্তু স্পোর্টস সু’র বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এডিডাস কিন্তু ঠিকই তার কথা শুনছে। নিচে সেই উদাহরনটাই দিলাম।

 এডিডাসের এই জুতার নাম হচ্ছে “আল্ট্রাবুস্ট ডিএনএ লুপ” । এটা পুরাপুরি রিসাইকেল এর উপযোগী। এডিডাস তার সমস্ত ক্রেতাকে অনুরোধ করেছে তারা যেন ব্যবহার এর পরে এই জুতাটা ডাস্টবিনে ফেলে না দিয়ে এডিডাসকে ফেরত দেয়। এডিডাস সেই ব্যবহৃত জুতাকে ভাঙে আর আবার নতুন করে বানায়। এতে করে এডিডাস বর্জ্য কমালো আর কাচামালের সরবরাহকে সার্কুলেট করল।   আসলে এডিডাস এখানে ওই কিপটা লোকটা’র সার্কুলার ইকোনোমী’র দর্শণই প্রয়োগ করে দেখালোঃ পন্যের শেষ রস বের হওয়ার আগ পর্যন্ত তার ব্যবহার করা, কাচামালের ব্যবহারকে সার্কুলেট করা।
  • আরে ভাই, খোশগল্প করতে করতে তো আসল কথাই ভুলে যাচ্ছেন! রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং আর সার্কুলার ইকোনমি’কে কেন সহদর বললেন সেটা বলেন দেখি আগে?
  •  আশ্চর্য! এখনো বুঝেন নি!! আরে ভাই, এদের দু’জনের চিন্তা-ভাবনা, কর্মপদ্ধতিতে দারুন একটা মিল পাচ্ছেন না! সহদর না হলে এত মিল কি খুজে পেতেন!

৩. বাংলাদেশে এই সহোদরের প্রয়োজনকে কেন বড় করে দেখলাম?

আসুন ফিরে যাই আমাদের প্রথম অনুচ্ছেদ-এ “সহজ প্রশ্ন আর জানা উত্তর এর ডিলেমা’য়”। সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর না দিয়ে আমি আরও কতক প্রশ্নের উদ্রেক করি, সেগুলোর উত্তর খুব একটা কঠিন ছিল না, কিন্তু ট্রিকি ছিল।

নিচের চার্টে সেই ট্রিকি প্রশ্নগুলোর ইতিবাচক ও নেতিবাচক উত্তর দেওয়া হলঃ

প্রশ্নইতিবাচক উত্তরনেতিবাচক উত্তর
জনসংখ্যা কি অভিশাপ নাকি শক্তি?অবশ্যই শক্তি অভিশাপ
আমদানি-রপ্তানির বৈষম্য কমিয়ে আনার বুদ্ধি কি?বুদ্ধি আছেকোন বুদ্ধি নাই
বেকারত্বই বা কিভাবে কমিয়ে আনা যায়?অবশ্যই কমানো সম্ভবকোনভাবেই সম্ভব না
পরিবেশ ভাবনা নি আমাদের মত দুর্বল অর্থনীতির দেশে বাতুলতা?মোটেই বাতুলতা নয়অবশ্যই বাতুলতা

ইতিবাচক সকল উত্তরকে বাস্তবে রুপ দিতে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্কুলার ইকোনোমী বড় ভুমিকা রাখতে পারে।

জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরঃ  রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে দুই ধরনের শিল্প-কারখানা’র বিস্তার ঘটানো সম্ভবঃ (১) ক্ষুদ্র শিল্প-কারখানা যা কিনা কম্পোনেন্ট তৈরী করে মূল পন্যের উতপাদনকারীকে সাপ্লাই দিবে, (২) নতুন ইনোভেটিভ পন্য তৈরী করে নতুন নতুন বাজার দখল করবে। দুই শিল্প-কারখানার জন্যই প্রয়োজন বিরাট অংকের দক্ষ কর্মী’র যা কিনা পুরন হতে পারে দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরের মাধ্যমে। এই জুলাই-আগস্ট বিপ্লব আমাদের দেখিয়েছে আমাদের ছাত্ররা হাতে-কলমে কাজ কত ভাল করতে পারে। ৫-আগস্টের পর প্রায় দুই সপ্তাহ তারা ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলেছে, এবং সেটা বেশ ভাল ভাবেই। বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশ এর শুন্যতা পূরনেও তারা পার্টটাইমার হিসাবে ভাল কাজ করছে। কর্মসংস্থান ভিত্তিক প্রকৃত ট্রেইনিং এই বিশাল জনগষ্ঠিকে জনশক্তিতে রুপান্তরের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

আমদানি-রপ্তানির বৈষম্য কমানোঃ প্রযুক্তি নির্ভর প্রায় প্রতিটি পন্যের জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় আমদানী’র উপর, এমনকি কৃষি পন্যও আমরা আমদানী করি। রপ্তানী’র লিস্টে আছে শুধু তৈরী পোশাক আর ঔষধ শিল্প। কাজেই ফরেক্স রিজার্ভের গ্যাপ নিয়ে সর্বদাই আমাদের উদবীগ্ন থাকতে হয়। এই গ্যাপ পুরনে বড় ভূমিকা রাখে আমাদের প্রবাসী’রা।

রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর পন্যগুলোর একটা পার্সেন্টেজ দেশে উৎপাদন করতে পারি যা কিনা আমদানী নির্ভরতা কিছুটা কমাবে। কৃষি’তে প্রযুক্তির ব্যবহার করে উৎপাদ, ডিস্ট্রিবিওশন ও স্টোরেজ এ ইফিসিয়েন্সি বাড়ানো যেতে পারে যা কিনা আমদানী কমিয়ে আনবে।

ট্রেইনিং এর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃস্টি করলে সে জনশক্তিই রপ্তানী করা সম্ভব।

আমাদের দেশের আমদানী পলিসি আবার অদ্ভুত । রিফারবিশ জিনিস আমদানী করা নিষেধ (শুধুমাত্র গাড়ি’ই রিফারবিশড আমদানী করা বৈধ)। সার্কুলার ইকোনোমী’র মূল মন্ত্রই হল পন্যকে যতসম্ভব ব্যাবহার করা, পুনর্ব্যবহার করা। রিফারবিশড পন্য আমদানী আমাদেরকে দুই ভাবে সাহায্য করবেঃ (১) আমদানী মূল্য কমাবে (অর্থাৎ ফরেক্স রিসার্ভে চাপ কিছুটা কমবে) (২) ব্যবহৃত পন্যটি পুরনো হলে সেটিকে উতপাদনকারী’র কাছে ফেরত পাঠিয়ে তার বিনিময়ে ডলার রিইম্বার্স করা যাবে আর বর্জ্য কমানোয় পরিবেশে এর ইতিবাচক প্রভাব পরবে।

বেকারত্ব কমিয়ে আনাঃ ট্রেনিং এর মাধ্যমে জনশক্তি তৈরী আর নতুন নতুন শিল্প-কারখানা (ক্ষুদ্র ও কুটির) সৃস্টির মাধ্যমে বেকারত্ব কমানো খুবই সম্ভব।

পরিবেশ ভাবনাকে সাথে নিয়ে উন্নয়ন ভাবনাঃ  ইউনাইটেড নেশনস এর ১৭টাসাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এস ডি জি) এর ১২ নম্বর গোল হচ্ছে “রেসপন্সিবল কনসাম্পশন এন্ড প্রডাকশন” যা কিনা সার্কুলার ইকোনোমি’র মূল মন্ত্র। রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং কিন্তু প্রডাকশন করতে বেশ রেসপন্সিবল কনসাম্পশন করতে পারে কারন যে সমস্ত পন্য তাদের ব্যবহারযোগ্যতা হারিয়েছে (নির্দিস্ট সময় ব্যবহার করার ফলে) সেই পন্যগুলোকেই যদি বর্জ্য হিসাবে না ফেলে তার থেকে কম্পোনেন্টগুলো আলাদা করে কাচামাল হিসাবে ব্যবহার করলেই কিন্তু কনসাম্পসন একটা রেসপন্সিবল লেভেলে চলে আসে।

কাজেই আমরাও আমাদের উন্নয়ন ভাবনায় পরিবেশকে সাথী করতে পারি, আর এটা এখন আর কোন অপশন না, এটা করতেই হবে। নইলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।

Comments

Leave a Reply